বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:
বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে বিজেপি।
কিছুদিন আগেই বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলে যুব মোর্চার দায়িত্ব পেয়েছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তার পরই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যে অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। সেই অনুযায়ী সোমবার কলকাতার ফুলবাগানে তাঁর নেতৃত্বে জমায়েত হন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। সেখান থেকে তাঁদের মিছিল করে এন্টালিতে ডেপুটি কমিশনারের দফতরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। সেখানে ডেপুটি কমিশনারের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেবেন বলেও ঠিক ছিল। কিন্তু সেই মিছিল হতেই দেয়নি পুলিশ। ফুলবাগান মোড় থেকে মিছিল শুরু হলে পুলিশ আটকে দেয়। তখন বিজেপি কর্মীরা রাস্তাতেই বসে পড়েন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। তখন পুলিশ সৌমিত্র খাঁকে এবং বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, ফুলবাগানে বিজেপির মিছিল পুলিশ আটকে দিয়েছে খবর পেয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বিধাননগর থেকে রওনা হন। কিন্তু রাস্তাতেই সায়ন্তন বসুকে আটকে দেয় পুলিশ। কিন্তু তার পরও সায়ন্তনবাবু ফুলবাগানে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকেও গ্রেফতার করে। পাশাপাশি ফুলবাগানে গ্রেফতার হওয়ার সময় পুলিশের ওপর নিজের একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে পুরোপুরি ব্যর্থ পুলিশ। এর কারণও আছে। কারণ, পুলিশের এখন আইন–শৃঙ্খলা বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার সময় নেই। তাদের কাজ হল তৃণমূল নেতাদের কথা শোনা এবং বিজেপি নেতা–কর্মীদের গ্রেফতার করা।’
তাঁর পাশাপাশি এদিন সায়ন্তন বসুও বলেন, ‘পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন। এই গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্যই বিজেপি পথে নেমে কাজ করছে। তাই প্রতিদিনই পুলিশ বিজেপি নেতা ও কর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। এই পুলিশের বাধাতেই আমি আজ বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারিনি। আমি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছে। এই হল সরকারের অবস্থা। গণতন্ত্রের নিয়মেই এমন সরকার টিকে থাকে না। এই সরকারের পতন হতে আর বেশি দেরি নেই।’